বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : পদ-পদবী নিয়ে জাতীয় পার্টিতে দেবর ভাবীর গৃহবিবাদ এখন চরমে! দেবর-ভাবীর দীর্ঘদিনের সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে। এতে করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। হাল খবর হলো ঘরের দ্বন্দ্বের সমাধান চাইতে এবার আদালতের দারস্থ হচ্ছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করেছিলেন অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। আগামী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনিই হাইকোর্টে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট গৃহবিবাদ নিরসনে জটিলতার দিক নির্দেশনা চেয়ে রিট করবেন বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে তিনি বলেন, রিটে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদের উত্তরাধিকারী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঠিক করে দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের দ্বন্দ্বের কারণে জাতীয় পার্টির লাখ লাখ নেতা-কর্মী অস্বস্তিতে রয়েছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। জাতীয় পার্টির একজন শুভাকাঙ্খী ও কর্মী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। এ কারণে রিট করতে যাচ্ছি। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্পীকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হবে বলে জানান এ আইনজীবী।
অপরদিকে, গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর অনেকটা হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পাশাপাশি জিএম কাদেরকে পদ ছাড়ার আহ্বানও জানান তিনি। এর আগেই জি এম কাদেরকে রওশন এরশাদের সম্মতি ছাড়াই চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। দলের সিনিয়র নেতাদের এমন পাল্টা পাল্টি ঘোষণায় রাজনীতির মাঠ কিছুটা হলেও গরম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। শেষে জাতীয় পার্টির কান্ডারী নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে সাধারণের মাঝেও।
এদিকে বিরোধী দলের নেতা মনোনীত করতে এরই মধ্যে স্পিকারকে পাল্টাপাল্টি চিঠি দিয়েছেন জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ। দলটির এক অংশ নতুন করে বেগম রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণার মধ্য দিয়ে এরশাদের মৃত্যুর পরে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের জানান দিলো। দলের একটি অংশ রওশনের পক্ষে, আরেকটি অংশ জিএম কাদেরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে এরশাদের জাতীয় পার্টির দুভাগ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হলো। রওশনের পক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর জাপা আর জিএম কাদেরের পক্ষে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে দেখা গেছে।